পদ্মা সেতু বর্তমানে বাংলাদেশেরে নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এটি হচ্ছে বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু এবং দেশের অন্যতম প্রধান নদী পদ্মা নদীর উপর দিয়ে প্রথম স্থায়ী নদী পারাপার হবে। সেতুটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোকে রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরাঞ্চলের সাথে সংযুক্ত করছে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে ভ্রমণের সময় এবং পরিবহন খরচ কমিয়ে দিয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পটি 2007 সালে শুরু হয়েছিল এবং দুর্নীতির অভিযোগ এবং তহবিল সংক্রান্ত সমস্যা সহ বছরের পর বছর ধরে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলো। যাইহোক, বাংলাদেশ সরকার প্রকল্পের সাথে অটল ছিলো এবং এটি সম্পূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর ছিলো, যার ফলে আমরা এখন এই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারছি । সেতুটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং আশেপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতিতে একটি বড় অবদান রাখছে।
পদ্মা সেতু এর ডিজাইন ও ব্যয় সর্ম্পকে তথ্য
পদ্মা সেতু 6.15 কিলোমিটার দীর্ঘ এবং 18.10 মিটার চওড়া, একটি চার লেনের হাইওয়ে এবং একটি একক-ট্র্যাক রেলপথ সহ ডিজাইন করা হয়েছে। পদ্মা সেতুটি দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে সুইডেনের অল্যান্ড ব্রিজকে পেছনে ফেলে ১২২ তম অবস্থানে এসেছে। সেতুটির দুটি শেষ অংশ এবং 41টি স্প্যান থাকবে, মূল সেতুটিতে 35টি স্প্যান থাকবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ১২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা (৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন টাওয়ার এবং গ্যাস লাইনের জন্য ১০০০ কোটি টাকাসহ)। ২ হাজার ৬৯৩ দশমিক ২৬ কোটি টাকা। চীনা ও বাংলাদেশী কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে সেতুটির নির্মাণকাজ চলেছে এবং ২২ জুন 2022 সেতুর নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ করে তা সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পদ্মা সেতু শনিবার (২৫ জুন) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এটি সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জন্য একটি প্রধান ল্যান্ডমার্ক এবং দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রতীক। এটি কেবল পরিবহন সুবিধাই নয়, দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে। সেতুটি লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটাচ্ছে এবং বাংলাদেশে ব্যবসা, বাণিজ্য ও পর্যটনের নতুন সুযোগ খুলে দিয়েছে বলে আশা করছি আমরা।